প্রশ্ন: শিলা বলতে কি বোঝো ও শিলার বৈশিষ্ট্য লেখো। ( Definition and characteristics of Rock)
গ্যাসীয় পৃথিবী জন্মলগ্ন থেকে তাপ বিকিরণ করে তরল অবস্থার মধ্য দিয়ে ক ঠিনে পরিণত হওয়ার সময় একটি কঠিন আবরণ পৃথিবী পৃষ্ঠ কে ঢেকে ফেলে, তা হলো ভূত্বক। আর ওই ভূত্বক যে সব কঠিন উপাদানে গঠিত তাদের একত্রে শিলা বা Rock বলে।
শিলার বৈশিষ্ট্য:
১) বোল্ডার, নুড়ি , বালি, পলি, কাদা, শিল্ট প্রভৃতি সব কিছু শিলার অন্তর্গত। ২) শিলা মূলতঃ বিভিন্ন খনিজের সমন্বয়। এটি একটিমাত্র খনিজ গঠিত সমসত্ব মৌলিক হতে পারে। যেমন- সৈন্ধব লবণ। আবার একাধিক খনিজ গঠিত বিষমসত্ব যৌগিক হতে পারে। যেমন – গ্রাফাইট, বেলেপাথর প্রভৃতি। ৩) খনিজ ছাড়াও শিলা তে জৈব পদার্থ ও থাকে। ৪) শিলার কোনো রাসায়ানিক সংযুতি ও সংকেত নেই।
শিলার শ্রেণীবিভাগ:
ক) খনিজের উপস্থিতি অনুযায়ী দুই প্রকার – ১) সমসত্ব শিলা – সৈন্ধব লবণ। ২) অসমসত্ব শিলা – গ্রাফাইট।
খ) উৎপত্তি অনুসারে তিন প্রকার – ১) আগ্নেয় শিলা – গ্রানাইট। ২) পাললিক শিলা – কংগ্লোমারেট। ৩) রূপান্তরিত শিলা – মার্বেল।
প্রশ্ন:- আগ্নেয় শিলা বলতে কি বোঝো? (What do you mean by Igneous Rock?)
উত্তর: * অর্থ:- ল্যাটিন শব্দ ‘Igeous’ থেকে আগ্নেয় কথাটি এসেছে যার অর্থ ‘ আগুন ‘ অর্থাৎ উত্তপ্ত আগ্নেয় পদার্থ থেকে আগ্নেয় শিলা তৈরি হয়।
* আগ্নেয় শিলার সংজ্ঞা:– পৃথিবীর উত্তপ্ত তরল অবস্থা থেকে তাপ বিকিরণের ফলে উত্তপ্ত গলিত আগ্নেয় পদার্থ ম্যাগমা ও লাভা ভু – অভ্যন্তরে বা ভূপৃষ্ঠে শীতল কঠিন ও কেলাসিত হয়ে যে শিলা সর্বপ্রথম সৃষ্টি হয়, তাকে আগ্নেয় শিলা বলে।
* আগ্নেয় শিলার বৈশিষ্ট্য:– ১) পৃথিবীতে সর্বপ্রথম এই শিলার জন্ম হয় এবং তা থেকে পরবর্তীকালে অন্যান্য শিলার সৃষ্টি হয় বলে , একে প্রাথমিক শিলা ও বলে। ২) এটি স্তরহীন কেলাসিত হওয়ায় একে অস্তরীভূত শিলা বলে। ৩) এটি জীবাশ্ম উপাদান হীন। ৪) এটি ফাটল, দারন ও ছিদ্রহীন অপ্রবেশ্য শিলা। তিন প্রকার শিলার মধ্যে এটি সবচেয়ে শক্ত ও ক্ষয় প্রতিরোধক। ৫) এটি আমলিক বা ক্ষারকিয় রাসায়নিক প্রকৃতির। ৬) শিলা কনাগুলি খুবই ঘন সন্নিবিষ্ট ও ভারী।
* আগ্নেয় শিলার উদাহরণ:– গ্রানাইট, ব্যাসল্ট, পরফাইরি প্রভৃতি।
প্রশ্ন: উৎপত্তি ও গঠন অনুযায়ী আগ্নেয় শিলার শ্রেণীবিভাগ কর। ( Classify Igeous Rock according to origin and structure.)
উত্তর: *সংজ্ঞা:- ভুঅভ্যন্তরে বা ভূপৃষ্ঠের বাইরে ম্যাগমা অথবা লাভা শীতল ও জমাট বেঁধে যে শিলা গঠিত হয়, তাকেই আগ্নেয় শিলা বলে।
*শ্রেণীবিভাগ:– উৎপত্তি ও গঠন অনুযায়ী আগ্নেয় শিলা দুই প্রকার –
ক) নিঃসারী আগ্নেয় শিলা
খ) উদ্বেধী আগ্নেয় শিলা।
ক) নিঃসারী আগ্নেয় শিলার সংজ্ঞা:– ম্যাগমা চেম্বার থেকে উত্তপ্ত তরল ম্যাগমা আগ্নেয়গিরির মধ্য দিয়ে ভূপৃষ্ঠে এসে পৌঁছানোর পর শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে দ্রুত শীতল ও কঠিন হয়ে যে শিলার সৃষ্টি করে, তাকে নিঃসারী আগ্নেয় শিলা বলে।
যেমন – ব্যাসল্ট, তুফ।
*শ্রেণীবিভাগ:- নিঃসারী আগ্নেয় শিলা কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা – ১)লাভা শিলা
২)পাইরক্লাস্টিক শিলা।
প্রশ্ন: লাভা শিলা ও পাইরোক্লাস্টিক শিলা কী? ( What is Lava Rock and Pyroclastic Rock?)
উত্তর: * লাভা শিলা – ভু – অভ্যন্তর থেকে উত্তপ্ত তরল আগ্নেয় পদার্থ বা ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠে নির্গত হয়ে বিস্তৃত অঞ্চলে লাভা স্রোত রূপে প্রবাহিত হবার সময় অতি দ্রুত শীতল বায়ুর সংস্পর্শে কঠিন ও কেলাসিত হয়ে অতিসূক্ষ্ম কনা যুক্ত যে শিলার সৃষ্টি হয়, তাকে লাভা শিলা বলে।
যেমন – ব্যাসল্ট, অ্যান্ডিসাইট ইত্যাদি।
*পাইরোক্লাসটিক শিলা:– অগ্নুৎপাতের আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ এর মধ্যে জমে থাকা পূর্বেকার কঠিন লাভা ভস্ম, সিন্ডার , ছাই প্রভৃতি নিক্ষিপ্ত হয়ে নব নির্গত লাভার সঙ্গে জমাট বেঁধে যে শিলার সৃষ্টি হয়, তাকে পাইরোক্লাসটিক শিলা বলা হয়।
যেমন – তুফ, ল্যাপিলি প্রভৃতি।
খ) উদবেধী আগ্নেয় শিলার সংজ্ঞা:– ভূগর্ভের উত্তপ্ত গলিত পদার্থ ভু – পৃষ্ঠে পৌঁছাতে না পেরে ভূগর্ভের মধ্যেই বহু বছর ধরে ধীরে ধীরে শীতল ও কঠিন হয়ে যে শিলার সৃষ্টি হয়, তাকে উদবেধী আগ্নেয় শিলা বলা হয়।
যেমন – গ্রানাইট, ডলোরাইট ইত্যাদি।
*উদবেধি আগ্নেয় শিলার বৈশিষ্ট্য:- ১) ম্যাগমা আঠালো প্রকৃতির হওয়ায় ভূপৃষ্ঠে নির্গত হতে পারে না। ২) শীতলীকরণ এর হার খুবই মন্থর। ৩) তুলনামূলক ভাবে হালকা বর্ণের ও অম্ল প্রকৃতির হয়।
*শ্রেণীবিভাগ:– উদবেধী আগ্নেয়শিলা কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা – ১) পাতালিক শিলা।
২) উপপাতালিক শিলা।
প্রশ্ন:- পাতালিক শিলা কাকে বলে ও বৈশিষ্ট্য গুলি লেখো। ( What is plutonic Rock and its characteristics).
উত্তর: *সংজ্ঞা :- অতি সান্দ্র আঠালো ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠে নির্গত হতে না পেরে ভু অভ্যন্তরের অনেক গভীরে কোন ফাটল বা দুর্বল অংশে সুদীর্ঘকাল ধরে অতি ধীরে ধীরে শীতল, কঠিন ও কেলাসিত হয়ে যে আগ্নেয় শিলা গঠিত হয়, তাকে পাতালিক শিলা বলে।
* বৈশিষ্ট্য:- ১) ভুঅভ্যন্তরের গভীরে সৃষ্টি হয়। ২) শীতল বায়ুর অভাবে মন্থরতম হারে এটি শীতল হওয়ায় দানা গুলি বৃহত্তম হয়। ৩) খনিজের আপেক্ষিক ঘনত্ব কম ও হাল্কা হয়।
৪) ম্যাগমা অতি সান্দ্র প্রকৃতির হয়।
*উদাহরণ:- গ্রানাইট গাব্রো প্রভৃতি।
প্রশ্ন: উপপাতালিক শিলা কাকে বলে ও তার বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর। (What is Hypabyssal Rock? And it’s Characteristics).
উত্তর: *সংজ্ঞা:- অল্প সান্দ্র বা প্রায় তরল ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠে নির্গত হতে না পেরে তার সামান্য নিচে ফাটল বা কোনো দুর্বল অংশে ধীরে ধীরে শীতল, কঠিন ও কেলাসিত হয়ে যে আগ্নেয় শিলা গঠিত হয়, তাকে উপপাতালিক শিলা বলে।
*বৈশিষ্ট্য:- ১) মাঝারি হারে শীতল হওয়ায় দানা গুলি মাঝারি আয়তনের হয়। ২) ভূপৃষ্ঠের অল্প নিচে প্রায় ১০ কিমির কম এর মধ্যে সৃষ্টি হয়। ৩) খনিজের আপেক্ষিক ঘনত্ব বেশি ও গাঢ় বর্ণের হয়। ৪) ম্যাগমা অল্প সান্দ্র বা প্রায় তরল প্রকৃতির হয়।
*উদাহরণ – ডলোরাইট, পরফাইরি প্রভৃতি।
প্রশ্ন: আগ্নেয় শিলাকে প্রাথমিক শিলা বলা হয় কেন? (Why Igneous Rock is Called Primary Rock?)
উত্তর: *সংজ্ঞা – আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুতপাতের ফলে অগ্নুতভূত পদার্থ ভূপৃষ্ঠের বাইরে সঞ্চিত হয়ে যে শিলার সৃষ্টি করে, তাকে আগ্নেয় শিলা বলে।
*কারণ:- ১) গ্যাসীয় তরল অবস্থা থেকে তাপ বিকিরণ করে পৃথিবী শীতল ও কঠিন হওয়ার সময় ভূত্বকের নিচে ফাটলের মধ্যে বা ভূপৃষ্ঠে উত্তপ্ত ও গলিত ম্যাগমা ও লাভা সঞ্চিত শীতল, কঠিন ও কেলাসিত হয়ে পাললিক ও রূপান্তরিত শিলা সৃষ্টির পূর্বে সর্বপ্রথম আগ্নেয় শিলা সৃষ্টি হয়।
২) পরবর্তী কালে এই আদিশিলা থেকে পাললিক ও রূপান্তরিত শিলা ক্ষয় ও সঞ্চয় প্রক্রিয়ায় উত্তাপ ও চাপ এবং রাসায়ানিক প্রক্রিয়ার প্রভাবে সৃষ্টি হয়।
* উদাহরণ – গ্রানাইট শিলা ,লাভা জমাটবদ্ধ হয়ে গঠিত হয় বলে, একে প্রাথমিক শিলা বলে।
প্রশ্ন: আগ্নেয় শিলাকে অস্তরীভূত শিলা বলে কেন? (Why Igneous Rock is Called Non – Stratified Rock?)
উত্তর: *সংজ্ঞা:- ভু – অভ্যন্তরের বাইরে ম্যাগমা অথবা লাভা শীতল ও জমাট বেঁধে যে শিলা গঠিত হয়, তাকে আগ্নেয়শিলা বলে।
* কারণ – ১) তরল ও
সান্দ্র:- উত্তপ্ত গলিত তরল বা সান্দ্র আগ্নেয় পদার্থ, যথা – ম্যাগমা ও লাভা ভূত্বকের ফাটলের মধ্যে বা ভূপৃষ্ঠে উন্মুক্ত হয়ে একসঙ্গে ও একই সময়ে শীতল, কঠিন ও কেলাসিত হওয়ায় কোনো স্তর ভেদ বা স্তরায়ন আগ্নেয় শিলায় থাকে না।
২) জমাটবদ্ধতা:- আগ্নেয় পদার্থ জমাটিকরনের ফলে ভূত্বকের ওপরে প্রথম এই শিলার বহিঃআবরণ সৃষ্টি হয়, তাই স্তর গঠিত হতে পারে না।
৩) কেলাসিত ও স্ফটিকাকার:- আগ্নেয় শিলা কেলাসিত ও স্ফটিকযুক্ত হওয়ায় স্তর গঠনের সময় পায় না।
* উদাহরণ:- গ্রানাইট, ব্যাসল্ট জাতীয় আগ্নেয় শিলায় কোনো স্তর দেখা যায় না।
প্রশ্ন: পাললিক শিলা বলতে কি বোঝো?(What do you mean by Sedimentary Rock?)
উত্তর:- *সংজ্ঞা:- ভূত্বকের শিলা সমূহ (আগ্নেয় ও রূপান্তরিত শিলা) আবহবিকার ও ক্ষয়ী ভবনের মাধ্যমে নুড়ি, পলি, বালি, কাদাতে পরিণত হয় এবং প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা সমুদ্র, হ্রদ, বা নদীর তলদেশে স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয়ে কালক্রমে জল ও পলিরাশির চাপ, ভূগর্ভস্থ তাপ ও রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় নিম্নস্থ স্তরগুলি জমাট বেঁধে উৎপন্ন সুস্পষ্ট স্তরযুক্ত সছিদ্র শিলাকে পাললিক শিলা বলে।
*বৈশিষ্ট্য:- ১) পলি, বালি, কাদা, নুড়ি প্রভৃতি বিভিন্ন আকার ও আয়তনের শিলাকনা, রাসায়নিক পদার্থ ও জীবদেহ দ্বারা গঠিত হয়। ২) বিভিন্ন পলল স্তরে স্তরে সমুদ্রের তলদেশ এ সঞ্চিত হওয়ায় একে স্তরীভূত শিলা ও বলে। ৩) আর্দ্রতার তারতম্যে শিলার মধ্যে চিড় খাওয়া দাগ সৃষ্টি হয়। ৪) আগ্নেয় ও রূপান্তরিত শিলার চেয়ে সবচেয়ে বেশি নরম ও হাল্কা হওয়ায় দ্রুত ক্ষয় হয়। ৫) সকল প্রকার শিলার মধ্যে এটি সর্বাধিক সছিদ্র ও সুপ্রবেশ্য শিলাস্তর।
* উদাহরণ:- বেলেপাথর, কাদাপাথর,চুনাপাথর ইত্যাদি পাললিক শিলা।
আরও পড়ুন / Inportant links 👇
ভূমিকম্প কাকে বলে? ভূমিকম্পের কারণ ও ফলাফল গুলি আলোচনা করো। Earthquake Causes and it’s effect
বন্যা কী? বন্যা সৃষ্টির কারণ এবং বন্যার ফলাফল ও বন্যা পরবর্তী ব্যাবস্থাপনা |
প্রশ্ন: পাললিক শিলার শ্রেণীবিভাগ আলোচনা কর। (Classify Sedimentary Rock according to the origin of sediment.)
উত্তর:- পলির উৎপত্তি অনুসারে পাললিক শিলা কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা –
ক) সংঘাত পাললিক শিলা
খ) আসংঘাত পাললিক শিলা।
ক) সংঘাত পাললিক শিলার সংজ্ঞা:- যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা আগ্নেয় ও রূপান্তরিত শিলা চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে নিজেদের রাসায়নিক ধর্ম অক্ষুণ্ন রেখে সমুদ্র বা কোনো জলোভাগের তলদেশে স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয়ে সৃষ্ট পাললিক শিলাকে সংঘাত পাললিক শিলা বলে।
* সৃষ্টির কারণ:- ভূ – তক ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে , ধস নেমে কিংবা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে এই শিলার সৃষ্টি হয়।
*বৈশিষ্ট্য:- ১)এই শিলা যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি হয়। ২) এই শিলার কাঠিন্য তুলনামূলক বেশি হয়। ৩) খনিজ দানাগুলি বড় হয়। ৪) শিলার রাসায়নিক পরিবর্তন হয় না।
* শ্রেণীবিভাগ :- সংঘাত পাললিক শিলা দুই প্রকার। যথা – ১) জলে সঞ্চিত পাললিক শিলা। ২) স্থলে সঞ্চিত পাললিক শিলা।
খ) অসংঘাত পাললিক শিলার সংজ্ঞা:- রাসায়নিক ও জৈবিক উপায়ে উৎপন্ন পাললিক শিলাকে অসংঘাত পাললিক শিলা বলে।
সৃষ্টির কারণ:- জলে দ্রবীভূত বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের জলীয় দ্রবণের জল বাষ্পীভূত হলে উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষ সমুদ্র বা কোনো জলভাগের তলদেশে স্তরে স্তরে অধক্ষিপ্ত হয়ে এই শিলা গঠিত হয়।
বৈশিষ্ট্য:- ১) জৈব
রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় এই শিলার সৃষ্টি হয়। ২) এই শিলা তুলনামূলক নরম প্রকৃতির হয়। ৩) শিলার রাসায়নিক পরিবর্তন হয়।
শ্রেণীবিভাগ:- অসংঘাত পাললিক শিলা দুই প্রকার। যথা – ১) জীবদেহ
জাত অসংঘাত পাললিক শিলা। ২) রাসায়নিক ভাবে গঠিত অসংঘাত পাললিক শিলা।
প্রশ্ন: রূপান্তরিত শিলা কী? (What is Metamorphic Rock?)
উত্তর: *সংজ্ঞা:- অত্যধিক তাপ, চাপ, রাসায়নিক বিক্রিয়া ও ভূগাঠনিক প্রক্রিয়ায় আগ্নেয় ও পাললিক শিলা পুনর্গঠিত ও পুনঃকেলাসিত হয়ে আর ও বেশি কঠিন ও ঘন সন্নিবিষ্ট হয়ে নতুন ধর্ম বিশিস্ট যে শিলা সৃষ্টি হয়, তাকে রূপান্তরিত শিলা বলে।
বৈশিষ্ট্য:- ১) রূপান্তরিত শিলা সাধারণত সছিদ্র ও অপ্রবেশ্য হয়। ২) মূল শিলার রং, কাঠিন্য, খনিজ গঠন আংশিক বা সম্পূর্ণ পাল্টে যায়। ৩) আগ্নেয় শিলা রূপান্তরের ফলে কেলাসগুলি বড় বড় হয়। ৪) রূপান্তরিত শিলার মধ্যে নাইস ও শিলা কনা সমান্তরালে সজ্জিত হয়। ৫) শিলা রূপান্তর স্থানীয় ও আঞ্চলিক ভাবে হতে পারে।
* উদাহরণ:- গ্রানাইট – নিস, চুনাপাথর – মার্বেল ইত্যাদি।
**** কয়েকটি রূপান্তরিত শিলার উদাহরণ:-
ক) আগ্নেয় থেকে রূপান্তরিত
১. গ্রানাইট – নিস
২. ব্যাসল্ট – অ্যামফিবোলাইট।
খ) পাললিক থেকে রূপান্তরিত
১. বেলে পাথর – কোয়ার্ট জাইট।
২. কাদা পাথর – শ্লেট।
৩. চুনাপাথর – মার্বেল।
৪. কয়লা – গ্রাফাইট।
Written by- Anju Samanta (B.A, M.A, B.ED in Geography)