রাম মন্দির
নবনির্মিত রাম মন্দিরটি উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় ২.৭৭ একর জায়গা নিয়ে অবস্থিত। আপনি ভারতের যেখানেই থাকুন না কেন অনায়াসে পৌঁছতে পারবেন কারণ Train হোক কিংবা By Road কিংবা By Air রাম মন্দির রয়েছে ওয়েল কানেক্টেড।
আজকের আর্টিকেলটি আপনি কীভাবে পশ্চিম বঙ্গ থেকে রাম মন্দির পৌঁছবেন সঠিক পথে তাই নিয়ে।
আকাশপথ:
আপনি দমদম এয়ারপর্ট থেকে কিংবা আপনার নিয়ারেস্ট যেকোনো এয়ারপর্ট থেকে টিকিট কাটতে পারেন রাম মন্দিরের সবথেকে কাছের বিমান বন্দরের।
- গরোখপুর এয়ারপোর্ট (GOP) অযোধ্যা থেকে দূরত্ব ১১৮ কিলোমিটার।
- Amausi Airport (LKO) , লখনউ অযোধ্যা থেকে দূরত্ব ১২৫ কিলোমিটার।
বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে অযোধ্যা যাওয়ার জন্যে আপনি সরাসরি গাড়ি বুক করতে পারেন অথবা উত্তর প্রদেশ পরিবহন সরকারি বাসে যেতে পারেন। ২৪ ঘনটা বাস সার্ভিস এর ব্যাবস্থা রয়েছে।
ট্রেনের মাধ্যমে:
ট্রেনের মাধ্যমে অযোধ্যা যাওয়ার জন্য আপনি হাওড়া জংসন থেকে অযোধ্যা ধাম জংশন পর্যন্ত সরাসরি টিকিট নিয়ে যেতে পারেন। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী স্টেশন হলো ফাইজাবাদ জংশন। বর্তমান স্লিপার ক্লাস টিকিট এর মূল্য চার শত চল্লিশ টাকা। খুব কম খরচে বাজেটের মধ্যে যেতে হলে ট্রেনের কোনো বিকল্প নেই।
সাইনেজ:
সাইনেজ” হলো সড়কে, বা কোনও স্থানে, দর্শকদের বা ব্যবহারকারীদের জন্য সহজ বোঝার জন্য তৈরি সাইন বা চিহ্ন, যা বিভিন্ন ধরণের তথ্য বা মার্গনির্দেশ প্রদান করতে ব্যবহৃত হয়।
বৃহত্তর সময়ের জন্য অযোধ্যায় পুজার্থীদের এবং দর্শকদের সুবিধার জন্য বাংলা, তামিল এবং তেলেগু সহ 22 টি ভারতীয় ভাষায় এবং 6টি ইউএন অফিসিয়াল ভাষায় সাইনেজ স্থাপন হচ্ছে।
ভারতীয় ভাষাসমূহ – হিন্দি, গুজরাটি, বাঙালি, তামিল, তেলেগু, মারাঠি, কান্নাড়, অসমীয়া, ওড়িয়া, কাশ্মীরি, কোঙ্কণি, নেপালি, পাঞ্জাবী, বড়ো, মণিপুরী, উর্দু, মালয়ালম, মৈথিলি, ডোগরি, সাঁওথালি, সংস্কৃত এবং সিন্ধি।
বিদেশী ভাষাসমূহ – আরবি, চীনা, ইংরেজি, ফরাসি, রাশিয়ান এবং স্প্যানিশ।
ভারতের জনসমৃদ্ধির জন্য ঐতিহাসিক এক সময়।
Conclusion:
অযোধ্যা রাম মন্দিরে ভ্রমণ করা শুধু একটি শারীরিক যাত্রা নয়; এটি একটি সাংস্কৃতিক এবং আধ্যাত্মিক মর্মান্তর ভরা যাত্রা। রামের জন্মভূমি পবিত্র অযোধ্যায় জীবনকালে একবার যদি ঘুরে আসলে জীবন ধন্য হয়ে উঠবে।